প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:০৪
বিশ্ব ইজতেমায় লাখো মুসল্লির ঢল
রাজধানীর অদূরে টঙ্গীর তুরাগ তীরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। মুসল্লিদের ঢল নেমেছে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে। ইতোমধ্যে ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা এসেছেন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমা। আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার প্রথম পর্ব। ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাটলা সাহেবের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা নুরুর রহমান। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিব উল্ল্যাহ্ রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আজ সকাল ১০টায় তালিমের আমল করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। বাদ জুমা বয়ান করবেন জর্ডানের মাওলানা ওমর খতিব। বাদ আছর বয়ান করবেন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের। শুক্রবার বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আহমদ লাট।
পরদিন শনিবার ইজতেমার ময়দানের আলেম, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বয়ানের ব্যবস্থা রয়েছে। এদিন বাদ আসর ইজতেমা মাঠের মূল মঞ্চের পাশে যৌতুকবিহীন গণবিয়ের আয়োজন করা হবে। ইজতেমার মাঠের গণবিয়ের আয়োজনে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে তাবলিগের সাথীদের।
এর আগে গত বছর আলমী শূরার বিশ্ব ইজতেমায় নগদ দেনমোহরে শতাধিক যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে তাবলিগের মুরব্বিরা ইসলামি নিয়মে বিয়ের বিধান নিয়ে প্রথমে বয়ান করেন। বয়ান শেষে বর-কনের অভিভাবকদের সম্মতিতে বরের উপস্থিতিতে এ বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ে শেষে উপস্থিত দম্পতিদের স্বজন ও মুসল্লিদের মধ্যে খুরমা খেজুর বিতরণ করা হয়।
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা করছেন ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি। চারদিন বিরতির পর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানিয়েছেন, ইজতেমায় গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের ছয় হাজার সদস্যের পাশাপাশি র্যাব, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ এবং পোশাকে ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।